বিশেষ প্রতিনিধি:
গত মঙ্গলবার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের ভাদুর দরগা এলাকায় এক নবদম্পতির মধ্যে ঘটে যাওয়া পারিবারিক ঘটনার জেরে নববধূ জেসমিন আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে জলঢাকা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে।
ঘটনাস্থলে নিহতের পরিবারের গার্জিয়ান জিকরুল ইসলাম উপস্থিত না থাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে পুলিশের পক্ষ থেকে কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার আগে মরদেহ থানায় আনা হলেও নিহতের স্বজনরা সেখানে পৌঁছান গভীর রাতে। পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহজনক মৃত্যু হওয়ায় আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী মরদেহের ময়নাতদন্ত করা বাধ্যতামূলক।
এ সময় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, নীলফামারী জেলা কমিটির একটি টিম স্বজনদের আহ্বানে ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রত্যক্ষ করেন, পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকলেও প্রকৃত ঘটনা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এ ঘটনার সত্য অনুসন্ধান না করে কিছু পক্ষ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আল আমিনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ তোলে। অভিযোগ করা হয় যে তিনি ঘটনাস্থলে আর্থিক দাবি করেছেন—যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসত্য। নিহতের স্বজনদের আবেগঘন কিছু বক্তব্যকে বিকৃত করে কিছু ব্যক্তি ও গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের চেষ্টা করেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইনী সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, নীলফামারী জেলা কমিটি এ ধরনের অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। তারা বলেন—সাংবাদিক আল আমিন রাষ্ট্র ও আইনের পক্ষে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ কেবল ব্যক্তিগত মানহানি নয়, আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও অপচেষ্টা।
সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়—যারা গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছে এবং সাংবাদিক আল আমিনকে হেনস্তার চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি। একই সঙ্গে গুজব ও ভিত্তিহীন সংবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।