নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ডহরি তালতলা খালের পদ্মা নদীর মুখ পরিণত হয়েছে চাঁদাবাজির অভয়ারণ্যে। স্থানীয় প্রভাবশালী তুহিন খন্দকার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—বাল্কহেড আটকিয়ে জাহাজে ভাঙচুর, ভয়ভীতি ও লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তুহিন খন্দকারের নেতৃত্বে অন্তত ৩ থেকে ৪টি বাল্কহেড জোরপূর্বক আটকানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, আটক জাহাজগুলোর মধ্যে একটিতে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়, পরে ‘বিচার’ ও ‘সালিশ’-এর নামে চালানো হয় চাঁদাবাজির খেলা। টাকা না দিলে বাল্কহেড ডুবিয়ে দেওয়ার সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, তিনটি বাল্কহেড থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও একটি বাল্কহেডে তুহিন খন্দকার নিজে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় ‘মীমাংসা’ করেন।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন—উপজেলা প্রশাসন কি সত্যিই তুহিন খন্দকার ও তার গোষ্ঠীকে এমন ক্ষমতা দিয়েছে, নাকি প্রশাসনের নামে ঢাল বানিয়ে চলছে অবৈধ চাঁদাবাজির রমরমা ব্যবসা?
সচেতন মহল বলছে, প্রশাসনের ব্যানার ব্যবহার করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে নদীপথের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত তদন্ত, চাঁদাবাজির নেপথ্য হোতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।