মোঃ সাব্বির,
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায়, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে হতে প্রিয়প্রাঙ্গণ গেট সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত, ঢাকা মাওয়া হাইওয়ে মহাসড়কে শত শত নারী-পুরুষ, বয়স্ক ও শিশু সহ এলাকার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
"রক্ত লাগলে রক্ত নে, ভিটামাটি ছাইড়া দে" এবং
“গ্রাম বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও, এক্সপ্রেসওয়ে সরাও” স্লোগান দিয়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল প্রতিবাদের পরিবেশ। মানববন্ধনের মূল দাবি ছিল এক্সপ্রেসওয়ের তেঘরিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে টার্নিং পয়েন্ট স্থাপন বাতিল করে প্রকল্পের রুট অন্তত ১ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে নেওয়া।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী বক্তব্যে জানান, এ টার্নিং পয়েন্ট থাকলে তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম চরম বিপদে পড়বে এবং ৫০,০০০ হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হবে। গড়পড়তা জীবিকার পাশাপাশি শতাধিক পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আগ্রাসনের মুখে ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপদ পরিবেশ হারিয়ে তাদের জীবন ও সামাজিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন, যেন মানুষের কল্যাণ ও স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে প্রকল্পের নকশায় যুক্তিসঙ্গত পরিবর্তন আনা হয়। বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, তাঁদের ভিটেমাটি ও গ্রাম রক্ষায় প্রয়োজনে জীবন-রক্তসত্যাগ্রহেরও পথে চলবেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করা হয়, যা দ্রুত শান্তিপূর্ণ ভাবে তুলে নেওয়া হয়। এই প্রতিবাদ প্রকল্পের গতিপথ পরিবর্তনের পরিসরে সীমাবদ্ধ নয়—এটি মানুষের নিরাপত্তা ও গ্রামের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। তারা সরকারের প্রতি আন্তরিক আবেদন জানিয়েছেন মানবিক ও দায়বদ্ধ ভূমিকা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নে মনোযোগ দিতে এবং মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার আগে উপযুক্ত পরিবর্তন করতে।
পরিশেষে বলা যায়, এই মানববন্ধন ছিল সাহস ও ঐক্যের এক শক্তিশালী অভিব্যক্তি, যা গ্রামবাসীর অধিকার, জীবিকা ও স্থিতিশীলতার জন্য সরকারের বিবেকবান হস্তক্ষেপ কামনা করে।