নুর ইসলাম নোবেল,ষ্টাফ রিপোর্টার,রিপোর্টার রংপুর:
জুলাই সনদের ঘোষনা ব্যতিত এদেশে যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা হয় এবং জুলাই শহিদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা সম্মান পায়না, তখন হতাশ হই। এমন মন্তব্য করেছেন রংপুরের জুলাই যোদ্ধারা।
৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ পরিবার, আহত ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিয়ে সম্মিলন ও দোয়া মাহফিলে জুলাই যোদ্ধাদের কন্ঠে উচ্চারিত হয় নানা অবহেলা ও বিচার বিলম্বের কথা। এসময় শহীদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেনের সহ শহীদ পরিবার, আহতরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, রংপুর সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ফয়সাল এবং পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ সর্বস্তরের মানুষ নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের বিপরীতে নবনির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ।
এছাড়াও বিকেল ৩টায় ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তিতে সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুর জেলা ও মহানগর জামায়াতের উদ্যোগেও একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১১টায় শাপলা চত্বর থেকে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর পর্যন্ত এক র্যালি বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। দুপুর আড়াইটায় টাউন হল চত্বর থেকে রংপুরের সর্বস্তরের ফ্যাসিস্টবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিজয় মিছিল বের হয়।
এছাড়াও, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫’ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। র্যালি শেষে প্রীতি খেলার আয়োজন করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৭টায় আতশবাজি প্রদর্শন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে তিনটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।