পুলক বিশ্বাস, স্টাফরিপোর্টার নীলফামারী
জুলাই গনঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ নীলফামারী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাই আন্দোলনের শহীদ রুবেলর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙ্গা আরাজীপাড়া শহীদ রুবেলের গ্রামের বাড়িতে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
স্বপ্ন পূরণের আশায় চাকরি নিয়েছিলেন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায়। আর বাবা চালাতে শুরু করেন রিকশা। বাবা-ছেলের জমানো টাকায় পূরণ করতে চেয়েছিলেন স্বপ্নগুলো। এগিয়ে যাচ্ছিলেন স্বপ্ন পূরণের পথে। ছোট ভাই রনি ইসলামকে পড়াচ্ছিলেন ষষ্ঠ শ্রেণিতে। স্বপ্ন পূরণে মা -বাবাকে নিয়ে বসবাস করতেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায়।
ছাত্র-জতার অভ্যুত্থানের সময় গত ৫ আগস্ট উত্তাল আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজপথ। সেদিন মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রুবেল। রাজধানীর আদাবর এলাকা রূপ নেয় রক্তাক্ত রণক্ষেত্রে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এ অবস্থায় তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মৃত্যু হয় তার।
শহীদ রুবেলর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাত শেষে জেলা প্রশাসক নায়িরুজ্জামান সাংবাদিকদের কথা বলেন।
তিনি জানান,‘নীলফামারীর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। জুলাই আন্দোলনে নীলফামারীর ৪ জন সন্তান শহীদ হন। তাদের সম্মানে জেলার ৪টি সড়কের নাম তাদের নামে নামকরণ করা হচ্ছে, যা শহীদ পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হচ্ছে। নীলফামারীতে ৪ জন শহীদ হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৩ জনের কবর এই জেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে শহীদ রুবেলের কবর সংরক্ষণ করা হয়েছে, বাকি দুইজনের কবর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে।