আলি হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (সদর)
মেলার স্টলে আ. লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন, মহিলা লীগ নেত্রী আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাজিয়া সুলতানা সম্পা নামে এক মহিলালীগ নেত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালা কলোনী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রাজিয়া সুলতানা জেলা মহিলা লীগের সদস্য এবং তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত ১০ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুরাতন স্টেডিয়ামে চেম্বার অফ কর্মাস কর্তৃক আয়োজিত বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাচ্চাদের খেলনা বিক্রির জন্য স্টল বরাদ্দ নেয় মহিলা লীগ নেত্রী রাজিয়া সুলতানা সম্পা এবং কোন এক সময় সেই স্টলেই নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন তিনি। যা পরবর্তীতে ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তাকে আটক করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের জন্য টিকিট আর কিছু গেস্টের জন্য পাস এর ব্যবস্থা ছিলো। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কাউকেই আমরা পাশ দিইনি। আর বাণিজ্য মেলার স্টল বরাদ্দের দায়িত্বে ছিল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তাই কাকে কীভাবে স্টল বরাদ্দ দিয়েছে সেটা তারাই বলতে পারবে।
জেলা চেম্বার অফ কর্মাস এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, মহিলা লীগের কোনো নেত্রী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে কেট কেটেছে কি না তা আমার জানা নাই। এতো বড় বাণিজ্য মেলায় কে কোথায় কী করলো সেটি আমরা সব জানি না।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রাহিম বলেন, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলার স্টলে ধারণ করা। এই বিষয়ে আমরা বাণিজ্য মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো এবং জানার চেষ্টা করবো তারা কিভাবে একজন মহিলা লীগ নেত্রীকে বাণিজ্য মেলার স্টল বরাদ্দ দিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান বলেন, মহিলা লীগ নেত্রীকে তার নিজ বাসভবন থেকে আটক করেছে পুলিশ। উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।