নিজস্ব প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ১০৯ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ১৩৩ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৫৬ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৮ জন গ্রেফতারসহ ৮৮ টি অস্ত্র, ১২৮৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ৩০৭ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৪৮ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৫৩ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৬০ জন, জেল পলাতক ৩৭ জন, প্রতারণার আসামী-১৩ জন সহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ৩১২ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
৩। এই মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত আসামি সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগীদেরকে গ্রেফতারের জন্যে র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা সহ তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পরবর্তীতে আড়াইহাজর থানার প্রেরিত অধিযাচন মূলে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ও ঢাকা ইন্ট উইং এর সহায়তায় অদ্য ১৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখ ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সোহেল মেম্বার (৩৮), পিতা-মোঃ মকবুল হোসেন এবং ফজলুল হক ② ফজু (৩০), পিতা-আউয়াল, উভয় সাং- বালিয়াপাড়া (ব্রাহ্মনন্দী), থান-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ দ্বয়'কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামী ফজলুল হক হেফজু এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামি দ্বয়'কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।