নিজস্ব প্রতিনিধি:-
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিম (২০) এর সাথে ২০২২ সালে আসামী মো: ইবান হাসান (৩০) এর সহিত বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই আসামী ইবান ভিকটিমকে সাংসারিক নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতে থাকে এবং বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মরে যা বলে অপমান করে। *গত ১৮/০৩/২০২৫ তারিখে বিকাল অনুমান ১৭.০০ ঘটিকায়* আসামী ইবান ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তুই মরে যা মর্মে বিভিন্ন ঘৃণামূলক কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিম অপমান সহ্য করতে না পেরে *আসামী ইবানের প্ররোচনায় একই তারিখ রাত আনুমানিক ২০.৩০ ঘটিকায় ছারপোকার ঔষুধ পান করে।* ভিকটিমের মা তার মেয়ের মুখ হইতে গন্ধ পেয়ে শোর চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন এসে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে উল্লেখিত হাসপাতালে ভিকটিম চিকিৎসাধীন *অবস্থায় রাত ০০.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করে।* উক্ত ঘটনায় ডিসিস্টের মা বাদী হয়ে ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানায় আসামী ইবানের বিরুদ্ধে একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩০, তারিখ-২৫/০৩/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৩০৬ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে আসামী ইবান আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আত্মহত্যা প্ররোচনায় জড়িত আসামীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় *গতকাল ১১/০৬/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১৯.৪০ ঘটিকায়* র্যাব-১০ একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় *ডিএমপি, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন আমাতুন নূর মহিলা মাদ্রাসা এলাকায়* একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে এই আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার এজাহারনামীয় আসামী *মোঃ ইবান হাসান (৩০),* পিতা- সালেহ আহমেদ, সাং- ধোলাইপাড়, থানা- যাত্রাবাড়ী, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।