জলঢাকায় জামাই বাদশার রহস্যজনক মৃত্যু
নীলফামারী প্রতিনিধি:
জামাই বাদশার ফেরা হলো না আর বউ নিয়ে বাড়ী। গত চার তারিখ রাজ মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে দোকানের কাজ শেষ করে মীরগঞ্জ পাঠানপাড়া শ্বশুরবাড়ীর উদ্দেশ্যে ঈদুল আযহা উপলক্ষে বউ আনতে যান জামাই বাদশা। সেই খানে এক পর্যায়ে স্ত্রীর বাড়ীর লোকজনের সাথে তর্কাতর্কি করে রাত বারোটার দিকে মুঠোফোনে কথা বলেন বাদশা তার বাবা মার সাথে, যে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান পুলিশ এনে উদ্ধার করে, না হলে আমি মরে যাচ্ছি এমন কথা কেনো বলল জামাই বাদশা সেই কথা থেকেই যায়। এবং তখন তার বাবা-মা বলে বাবা আমরা গরীব মানুষ পুলিশ কিভাবে নিয়ে যাবো এত রাতে কষ্ট করে থাকো আমরা দেখতেছি কি করা যায়। কিন্তু রাত দুইটা গত ৫ তারিখ রোজ বুধবারে শ্বশুরবাড়িতেই মৃত্যু হয় জামাই বাদশা এমনটি জানিয়েছেন এবং নিশ্চিত করেছেন বাদশার বাবা-মাসহ স্থানীয় জনগণ এবং তার পরিবারের লোকজন। যখন বাদশা তার শুশুরবাড়ীতে মারা যায় তাকে তড়িঘড়ি করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় মৃত ব্যক্তি বাদশাকে। পরবর্তী জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রেফার করেন রংপুরের উদ্দেশ্যে। এবং যে রেফার দিয়েছেন জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সেখানে উল্লেখ করা আছে যে বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে জামাই বাদশার কিন্তু বাবা মার ভাষ্য অনুযায়ী এবং এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করেন সবাই।
কারণ বাদশার গায়ে, হাতে কব্জিতে, পায়ে, এবং নিজের গোপনাঙ্গে একাধিক মারের চিহ্ন রয়েছে বলে মনে করেন সকলেই। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা, জনগণ, ও সচেতন মহল, সাংবাদিক, এবং মানবাধিকার কর্মীবৃন্দরা। কিন্তু জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানের সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে জানিনা। এবং বাদশার বিষয় নিয়ে কথা হয় মীরগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজু ইসলামের সাথে মুঠোফোনে তিনি জানান যে লাশ পোসমাটাম হয়েছে গেছে রিপোর্ট আসবে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব আমরা। তবে আর এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন তিনি।