সোহান মিয়া ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)
প্রেমিকাকে পালিয়ে নিতে এসে গণধোলাইয়ের স্বীকার হলেন প্রেমিক তুহিন ইসলামসহ দুই বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মে ২০২৫ইং শনিবার বিকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া বানিয়া পাড়া গ্রামের ঈদগা মাঠ সংলগ্ন এলাকায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া গ্রামের পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলামের কন্যা মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর সাথে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বকশিগঞ্জ তালুকভবন গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে তুহিন ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
এরেই এক পর্যায়ে তাদের প্রেমকে পূর্ণতা দিতে কয়েক মাস আগে পালিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের কার্যালয় রংপুরে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু উক্ত বিবাহবন্ধন মেয়ের পরিবারের লোকজন মানিয়ে না নেওয়ায় কৌশলে মেয়েকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই থেকে কিছুদিন তাদের উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে থাকে।
ঘটনার দিন ২৪ মে ২০২৫ ইং শনিবার মুঠোফোনে তাদের উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ হলে প্রেমিক তুহিন ইসলামকে প্রেমিকা আসতে বলেন তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য । প্রেমিকাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেমিক তুহিন ইসলামসহ দুই বন্ধু মটরসাইল যোগে পেট্রোলপাম সংলগ্ন ঈদগা মাঠ এলাকায় আসলে বিষয়টি মেয়ের পরিবার গোপনে জানতে পেরে তাদেরকে ধরে ফেললে তারা জনরোষে পড়েন এবং এক পর্যায়ে গণপিটুনির স্বীকার হন।
পরে মেয়ের পরিবারের লোকজন তুহিন ইসলামসহ দুই বন্ধুকে আহত অবস্থায় মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের হেফাজতে জমা দেন। বিষয়টি ছেলের পরিবারকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে তুহিন ইসলামসহ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে যান। বিয়য়টি নিশ্চিত করেন মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু।