আলি হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (সদর)
আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তবে এখনো বাজারে আসেনি এ জেলার আম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন এক সপ্তাহর মধ্যেই বাজারে আসবে এ জেলার সুমিষ্ট আম।
দেশের সব চেয়ে বড় আম বাজার চাঁপাইনবাগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, আম ক্রয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত বছরের পুরোনো আড়তগুলো মেরামত করা হচ্ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন আড়ত। আগামী সাত দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে এ জেলার গোপালভোগ আম।
শিবগঞ্জ উপজেলার আমচাষ ফরহাদ আলী বলেন, এ বছর চার বিঘা জমিতে গোলাপভোগ, খিরসাপাত, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম রয়েছে। ফলন ভালো না হলেও দাম ভালো পাওয়ার আশায় আছে। সামনের সপ্তাহে গোপালভোগ আম বাজারে নামাবো। আশা করছি তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা আরিফ নাচোল উপজেলার কার্তিকপুরে ১০ বিঘা জমিতে করেছেন বিভিন্ন জাতের আম বাগান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ৯৫ শতাংশ আম গাছে মুকুল আসলেও সে তুলনায় আম আসেনি। এরপরও স্বপ্ন দেখছি দাম ভালো পাব। যেহেতু ফলন কম তাই দাম ভালো হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি আরও বলেন, খিরসাপাত পাকতে শুরু করেছে। গত কালও খাওয়ার জন্য কয়েকটি আম নামানো হয়েছে। ৫-৭ দিনের মধ্যে বাজারে তুলবো।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, আমের ফলন ভালো না হলেও দাম নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ৫-৭ দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে এখানকার গোপালভোগ আম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েকবার গাছেই মুকুল নষ্ট হয়েছে। তবে এখন প্রায় সব গাছেই আম দেখা যাচ্ছে। গত বছরের চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা করছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে আসবে এ জেলার আম। তবে বৃষ্টির কারণে চলতি মাসে আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকলে আম পাকতে দেরি হতে পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আলি বলেন, আম পাকতে শুরু করেছে। দ্রুতই বাজারে আম নামবে। এ বছর ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যামাত্র ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।