ডেস্ক নিউজ:
ঢাকা শহরে সিটি কর্পোরেশন আইন ভঙ্গ করে রাজনৈতিক পোস্টার লাগানোর ঘটনায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুম চৌধুরীকে দায়ী করা হচ্ছে এই অবৈধ কর্মকাণ্ডে। তার ছবি সম্বলিত পোস্টারগুলো ঢাকা সিটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে লাগানো হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, পুরানা পল্টন, প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান, পিজি হাসপাতাল, শাহবাগ এবং রাজধানী মার্কেটের মতো জনবহুল স্থানে পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। এসব পোস্টার শারীরিকভাবে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে এবং যানজটসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তাছাড়া, সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া পোস্টার লাগানো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল রহমান বলেন, “এই ধরনের অবৈধ পোস্টার শহরের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে এবং সাধারণ জনগণের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করছে। সিটি কর্পোরেশন যদি এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে আমাদের জীবনযাত্রা আরও বিপদমুক্ত হবে না।”
এ ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে—কিভাবে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতি আইন লঙ্ঘন করে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই এই ধরনের প্রচারণা চালালেন? এমনকি, মাসুম চৌধুরী ফোন কলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তার এমন নিরবতা জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম বলেন, “যদি সিটি কর্পোরেশন এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এটা শহরের জনগণের কাছে একটি বড় সংকেত হয়ে দাঁড়াবে যে, আইন কার্যকর নয়। আমাদের প্রত্যাশা, সিটি কর্পোরেশন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।”
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, মাসুম চৌধুরী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই পোস্টারগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তার প্রতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক প্রচারণার নামে সিটি কর্পোরেশন আইনকে অবজ্ঞা করা এবং পাবলিক স্পেসে অবৈধ পোস্টার লাগানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে, মাসুম চৌধুরী এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন? এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কখন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? নগর পরিবেশ রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে নাগরিকরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, “পোস্টারগুলো শুধু শহরের সৌন্দর্যই নষ্ট করেনি, ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি, অনেকেই এই পোস্টার দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। মাসুম চৌধুরী যদি নিজে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন, তবে শহরের পরিবেশের জন্য এটি ভালো হবে।”
সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “পোস্টারগুলো কোথাও কোথাও আমাদের নজরে এসেছে। আমরা খুব দ্রুত বিষয়টি সমাধান করব এবং যে কোন অবৈধ পোস্টার সরিয়ে ফেলব।”