বি.সরকার। পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক)-র ফেক আইডি-তে খুলনার পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষকের নামে আপত্তিকর প্রচারনার বিরুদ্ধে থানায় জিডি সহ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাইকগাছা ভিলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুহাঃ আনিছুর রহমান রবিবার থানায় জিডির পর বিকেলে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক সরদার বদিউজ্জামান, শিক্ষক এমএম মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক বাবর আলী, প্রধান শিক্ষক শামসুর রহমান, খায়রুল ইসলাম, শামসুর রহমান ও সুব্রত কুমার সানা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আনিছুর রহমান-কে জড়িয়ে নারী সংশ্লিষ্টতা নিয়ে “দৈনিক পাইকগাছা খবর” নামের ফেক একটি ফেসবুক আইডিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা জানাজনি হলে খোদ শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি মর্যাদাহানীকর এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি প্রধান শিক্ষক সরদার বদিউজ্জামান ও শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক এমএম মতিয়ার রহমান ও সাধারন সম্পাদক প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকারসহ কমিটির সদস্যগন সংশ্লিষ্ট প্রসাশনকে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী-কে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে নিজের ছবি সংযুক্ত করে ফেসবুকে সম্মানহানিসহ আপত্তিকর পোষ্ট করার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ মে ‘২৫ রবিবার দুপুরে “দৈনিক পাইকগাছা খবর” নামের ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন, যার নং-৯২৩। বিকেলে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ধরনের অপপ্রচার ও আপত্তিকর পোষ্ট এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ঘটনা তুলে ধরতে অনুরোধ জানান। তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন যে, আগামীতে গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমার প্রার্থীতা ও পৌরসভাস্থ বসত বাড়ীর জমি নিয়ে বিরোধসহ নানা কারনে সুযোগ সন্ধ্যানী ব্যক্তিরা আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যদা ও সম্মান নষ্ট করতে এ অপপ্রচার ছড়াতে পারে। এ বিষয়ে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইদ্রিসুর রহমান জানান, যেহেতু প্রধান শিক্ষক থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন সেহেতু তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।