মোঃ জুয়েল খাঁন খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।
বাগেরহাট জেলার তিন কৃষি কর্মকর্তার বেপরোয়া দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও নেওয়া হয়নি কোন ধরনের পদক্ষেপ বুক ফুলিয়ে স্থান পরিবর্তন করে চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি জীবন মোঃ সাইফুল ইসলাম ০৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পদে যোগদান করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রকল্প, জিকেবিএসপি প্রকল্প, পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের প্রকল্প, কৃষি যান্ত্রিকিকরন প্রকল্প, উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প,পার্টনার প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত সকল কৃষক প্রশিক্ষণে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করে, নিউ প্যার্যাডাইস হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, মোংলা এর ভূয়া ভাউচার দাখিল করে এবং উপজেলার কৃষিকার্ডধারী কৃষাণ-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে অনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহনের উদ্দেশ্যে ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ও গুটিকয়েক আওয়ামী দালালদের যোগসাজশে প্রশিক্ষণ বানিজ্যের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষাধিক টাকা। ক্লাইমেট স্মার্ট ও জিকেবিএসপি প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত যন্ত্রপাতি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ইউনিয়ন কমিটির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজেদের পছন্দনীয় ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ২২০০ কৃষক পরিবারকে বিনামূল্যে সেবা প্রদানের নিয়ম থাকলেও, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মোংলা উপজেলাতে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় অনিয়ম ও ঘুষের বিনিময়ে ঘুরেফিরে বছরের পর বছর নাম পরিবর্তন করে একই পরিবারকে কৃষি প্রশিক্ষণ,প্রদর্শনী, প্রণোদনা,পুনর্বাসনের উপকরণ ও পরামর্শ সেবা প্রদান করে সম্ভাবনাময় মোংলা উপজেলার কৃষিকে ধংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন।
এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সকল প্রকল্প এবং রাজস্ব খাতের অর্থায়নে যেসকল প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরন করা হয়েছে, তার সকল সাইনবোর্ড ও ব্যানার জেএম ডিজিটাল প্রিন্টিং খুলনা/সাজু আর্ট এন্ড প্রেস/কামাল আর্ট & ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস/তাকি ফটোস্ট্যাট কম্পিউটার এন্ড ডিজিটাল স্টিডিও মোংলা এর ভূয়া বিল ভাউচার দাখিল করেও বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিতরণকৃত সকল প্রদর্শনীর উপকরনের সাথে কৃষকদের প্রাপ্য সার ও কীটনাশক, মেসার্স সবুজ কৃষি ভান্ডার/মেসার্স জহির এন্টারপ্রাইজ,মোংলা এর ভূয়া ভাউচার দাখিল করে আত্মসাৎ করেছেন আরও লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়া বিতরণকৃত প্রদর্শনীগুলাতে বিভিন্ন প্রকারের নিম্নমানের বীজ ও চারা কোনপ্রকার টেন্ডার ছাড়াই ক্রয়ের জন্য মেসার্স মোংলা সীড স্টোর/সবুজ বাক ও হাইব্রিড নার্সারি নামের ভূয়া ভাউচার দাখিল করে তিনি আত্মসাৎ করেছেন মোট বরাদ্দের প্রায় অর্ধেক টাকা। বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাঠ দিবস ও কৃষি মেলার নামেও আত্মসাৎ করেছেন কয়েক লক্ষ টাকা। উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প এর আওতায় গণপূর্ত বিভাগের কয়েক কোটি টাকার নতুন ভবন দায়সারা নির্মাণের পরেও মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কোন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না এনে, তাহার নিকট আত্মীয় বাগেরহাট জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পারিষদের চেয়ারম্যানের পরামর্শে আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বারা তড়িঘড়ি করে উদ্ভোধন করেন। প্রতিমাসে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে উপজেলার দুজন বিসিআইসি সার ডিলারকে চাহিদার তুলনায় বেশি বরাদ্দ দিয়ে পার্শ্ববর্তী খুলনা জেলায় সার পাচারে সহায়তা প্রদান করেন জনাব সাইফুল ইসলাম।
এছাড়া ০২/০৬/২০২৪ ইং তারিখে বর্তমান কর্মস্থল মোড়েলগঞ্জ,বাগেরহাটে যোগদানের পূর্বে মোংলা উপজেলার মিঠাখালি ইউনিয়ন, বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন, চাঁদপাই ইউনিয়ন ও মোংলা পৌরসভার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সুবিধাজনক স্থানে অর্থের বিনিময়ে বদলি বানিজ্য করেন। তাহার এসকল দুর্নীতিতে বাগেরহাট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙকর মজুমদার ও জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জড়িত থাকায় খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ও মহাপরিচালক বরাবর মোংলা উপজেলার ভুক্তভোগী কৃষাণ কৃষাণীবৃন্দ একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি।